Monday, February 12, 2018

সুখীপুরে সুখের হাওয়া।

শত্রুতা অনেক সময় বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে। এ ধারা আগে ছিলো। এই ধারা সুখীপুরে বলবৎ থাকবে, তা সালিম ও রাফি মানতে নারাজ। স্কুলে একই ক্লাসে পড়লেও সালিমের বাবার কড়া নিষেধাজ্ঞা, কোনোভাবেই রাফির সাথে মেশা যাবেনা। এ যেন মহারাজার ডিক্রি জারি! রাফি ক্লাসে ফার্স্ট, সালিম দ্বিতীয়। এরই মধ্যে ওদের দুজনের মাঝে একটা সদ্ভাব গড়ে ওঠে। পড়াশুনায় সাহায্য করা, টিফিন ভাগাভাগি থেকে শুরু করে সুখ-দুঃখেরও ভাগাভাগি চলে সমান তালে। মনে হয় একই মায়ের উদরের সহোদর। একদিন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সালিমের চাচাতো ভাই বদরুলের সাথে রাফির বড় ভাই মানিকের সাথে তীব্র বাক-বিতন্ডা হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ মারমুখী অবস্থায় পৌছে যায়।



বংশের মান রক্ষার্থে অপর পক্ষকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য উভয় পক্ষ কোমর বেঁধে মাঠে নামে। ক্লাসের এক ফাঁকে, সালিম ও রাফি এই দাঙ্গা বন্ধ করার উপায় খুঁজতে থাকে। যে করেই হোক এর রক্তারক্তি খেলা বন্ধ করতে হবে। হঠাৎ রাফি বলে, দোস্ত! আমি জানি, কোথায় দা, লাঠি আর টোটাগুলো রাখা আছে। রাফির কথায় সালিমও বলে উঠল, দোস্ত! আমিও জানি। আমার বড় চাচা, ওগুলো সব গোয়াল ঘরে রেখেছেন। ওরা কালবিলম্ব না করে হেড মাস্টার স্যারকে সাথে নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে। পুলিশ সব শুনে অভিযান পরিচালনা করে সব অস্ত্র উদ্ধার করে। অতঃপর এলাকায় এক সম্প্রীতি সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। সেখানে, উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমে এই দাঙ্গা বন্ধে ভূমিকা রাখায় রাফি ও সালিমকে বীর ঘোষণা করা হয়। আর উভয়ের মা'কে রত্নগর্ভা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপরে সুখীপুরে প্রকৃতপক্ষে সুখ আসে।

লেখক, ওমর ফারুক তাওহীদ অধ্যয়নরত, মাস্টার্স

No comments:

Post a Comment